উচ্ছ ঢাকায় চলে গিয়েছে দু-সপ্তাহ হলো।উচ্ছ থাকাকালীন রাতে ছাদে বসে ঘন্টাখানেক গল্প দেওয়া যেতো ছেলেটার সাথে কিন্তু উৎস এখন নিঃসঙ্গতায় ভুগছে বলে তারই এমন উদ্ভট ধারণা। রূপকের ওই কেইস দুটো এখনও অমিমাংসিত।এতে অবশ্য রূপক অতিশয় চিন্তিত।উৎসের সাথেও কথা বলে না।উৎসও অতশত পাত্তা দেয় না রূপককে। রূপকের ওসব ফালতু ধারণার জন্যই কেইসটা অসমাধিত।তবে বাড়ির সবাই নিজেদের কর্মসূচি পালন করতে পারলেও উৎসকে নিজ আড্ডাখানায় যাওয়ার জন্য বেগ পেতে হয় প্রচুর।নিশাচরের মতো রাত্রি নামলেই উৎস বন্ধুদের সাথে বেরোয় জঙ্গলের সেই কাঠঘরের উদ্দেশ্যে।মাঝে সাঝে আশিনের বাড়ির চারপাশেও ঘোরাফেরা করে আসে,তবে সম্পূর্ণ একা।নিহাল বন্ধুর সাথে যেতে চায় তবে বন্ধু উৎস যখন শান্ত চোখে তার দিকে তাকায় নিহালের কণ্ঠনালীও বন্ধ হয়ে যায়।এইযে নিশাচরের মতো রাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার বিষয়টা কি রূপক জানে না?অবশ্যই জানে।তবে কিছু বলে না রূপক।উৎস অবশ্য অতটা ঘাটে না ছেলেটাকে।যে যার মতো জীবন পারাপারে ব্যস্ত ইদানীং।উৎফুল্ল সকলেই এখন বিষণ্ণ চিত্তে দিন পার করছে।তন্মধ্যে অশোক তালুকদার যেন সবার আগে নিজের নামই রাখতে পছন্দ করেন।
উৎস বন্ধুদের সাথে বসে আছে সেই ঘরটিতে।পাশে পড়ে আছে মদের কিছু বোতল।এটা আর নতুন কিছু না।অনেকদিনের বদ-অভ্যাস।উৎস মাতাল নয়।মদ খেলেও দুই গ্লাসের বেশি না।এতে মাতাল হওয়ার প্রবণতা খুবই কম বলেই উৎসের ধারণা।বন্ধুরা সব খেয়ে পড়ে আছে মাটিতে।উৎস বাইরে বেরিয়ে আসে।কিছুদূর এগিয়ে জঙ্গলের ভেতরে থাকা ক্ষুদ্র প্রশস্তের একটি পুকুরের কাছে এসে পারে বসে। কুয়াশাচ্ছন্ন চারপাশ।উৎস পকেট থেকে ফোন বের করে।উচ্ছকে একটা কল করে।দুবার রিং হতেই ওপাশ থেকে কল রিসিভ হয়।উৎস চুপ থাকে।ওপাশে থাকা উচ্ছ কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে বলে, “মদ খেয়েছিস আজ? ”
“ মাঝেসাঝে একটু মেরে দেওয়া উত্তম পরিকল্পনা।”
“ এটা বলার জন্যই কি কল করেছিস এত রাতে?”
উৎস হাসে।
কথাটায় মজা পেয়েছে উৎস।অদ্ভুতভাবে বলে,“ তুই নাকি বিয়ে করছিস?”
ওপাশে থাকা উচ্ছ নিরব।উত্তর দিতে পারছে না,নাকি অবাক হয়েছে এটা উৎস বুঝতে পারে না।ওপাশে থাকা উচ্ছ’র অভিব্যক্তি ঠিক কেমন উৎস বুঝলো না ঠিকই তবে উচ্ছ’র কথা শুনে কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারলো ছেলেটা অবাক হয়েছে।
“ তুই কিভাবে জানলি?”
স্পষ্ট বিস্মিত গলায়ই জিজ্ঞাসা করলো উচ্ছ।উৎস হাসে।হাসির কলধ্বনি চারপাশে প্রতিধ্বনিত হয় যেন। হাসি থামিয়ে বলে,“ ভাই তুই আমার।আর আমি মানুষটাই হলাম উৎস।সমস্তকিছুর উৎস। এইসব ছোটখাটো বিষয় সবার অগোচরে করতে পারলেও আমার নয়।”
ওপাশে থাকা উচ্ছ ‘ওহ’ বলে আবার চুপ হয়ে যায়। উচ্ছ’র নিশ্বাসের শব্দ কানে বাজে উৎস’র।উচ্ছ বিয়ে করছে কথাটা উচ্ছ পরিবারেও জানায় নি।উৎস গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে।এতবছর শহরে থেকেছে উৎস নিজেও।এসব কিছু তার বা হাতের খেল বলায় চলে।উৎস উঠে দাঁড়ায়।আশিনের কথা মনে পড়ছে।ডাক্তারকে মাঝেমধ্যে কেমন অন্যরকম লাগে উৎসর কাছে।প্যারানরমাল!
উৎস কাঠঘরের পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার সময় কিছুটা দূরে যেতেই জঙ্গলের ভেতর থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পায়।আড়ালে নিঃশব্দে এগোয় সেদিকে যেদিক হতে আওয়াজ আসছে।কাছে যেতেই দেখে দুজন লোক তাড়াহুড়ো করে ওদিকে কোথাও যেন যাচ্ছে।উৎস পিছু নেয় লোকগুলোর। ফোন পকেটে ঢুকিয়ে ধীর পায়ে হাঁটতে থাকে সেই লোকগুলোর পিছু পিছু।সময় এখন কত হবে?বড়জোর ১টা কিংবা ২টা।এত রাতে এই লোকগুলো কোথা থেকে আসলো এটাই ভাবছে উৎস।গ্রামের অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে গেছে। আগে কেমন কোলাহলময়,উচ্ছ্বসিত,প্রাণোচ্ছল ছিলো।বাইরে বেরোলেই আনন্দের সুঘ্রাণ নাকে আসতো।আর এখন বাইরে বেরোলেই যেন আতঙ্ক একটা।এই কয় সপ্তাহে শান্তিপুর গ্রামেরই দুজন বৃদ্ধ নিখোজ হয়েছে।বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় নাকি বলে গিয়েছিলেন সেই বৃদ্ধ দুজন ‘ আমার আসতে দেরি হবে।’ উৎস ভেবে পায় না এই একটা কথা উনাদের দুজনেরই কিভাবে মিলে গেলো।রূপক অবশ্য এর খোজ নিচ্ছে।উৎস যেতে যেতে একটা সময় গিয়ে লোকগুলোকে হারিয়ে ফেলে।রাস্তাটান্তার চেনা।এই রাস্তাটা দিয়ে শান্তিপুর বাজার আর হাসপাতালে যাওয়া যায়।কিন্তু লোকগুলো কোনদিকে গিয়েছে এটা উৎস মোটেও বুঝতে পারলো না যেন।তার লোকগুলোকে সন্দেহ হচ্ছে। এরাই আবার সেই বৃদ্ধদের নিখোঁজের পেছনে জড়িত নয় তো?
____________________
মাঝে কিছুদিন রবিন সাহেব ভালো ছিলেন।তবে এখন আরও যত দিন যাচ্ছে তিনি ততই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।আশিন বাবার এমন অবস্থায় নিজেও অসুস্থ হওয়ার জোগাড়।নিজেকে যতটা দৃঢ় রাখা উচিত ততটাই রেখে দিন পার করছে বাবার সেবা করে। তবে আশিনের মনে হচ্ছে বাবাকে এখন ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে।শান্তিপুর গ্রাম থেকে ঢাকা যেতে বাসে করে গেলে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে।এত সময় অবশ্য রবিন সাহেব জার্নি করতে পারবেন কিনা সন্দেহ? তবুও আপাতত এখন কোনো উপায় নেই আশিনের কাছে।তাইতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাবাকে ঢাকায় কোনো এক হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসাধীন রাখতে হবে।হাসপাতালে আরও একজন ডাক্তার এসেছেন ড. ইভান নামে।উনি হার্ট সার্জন।এইতো দুইদিন হবে হয়তো।ড. ইভান হাসপাতাল কর্তৃক নিবেদিত ফার্ম হাউজে থাকেন।আশিনের সাথে দু একবার কথা হয়েছে।এর বেশি কথা হয়নি। আশিনের অনুপস্থিতিকালীন উনি ছাড়া আরও কয়েকজন আছেন।এজন্যই আশিন যেতে পারছে। এছাড়াও হাসপাতালে নার্সরা গার্ডরা বেশ কয়েকদিন ধরে বলাবলি করছিলো রাতে নাকি কান্নার আওয়াজ শোনা যায় হাসপাতাল থেকে।আশিনের পিলে চমকে উঠেছিলো কথাগুলো শুনে।আশিনের এই গ্রামে মন টিকছে না।বাবাকে বলতে পারছে না। বলার মতো সাহসটুকুও আদতে নেই।
জিনিসপত্র গুছিয়ে বাবাকে নিয়ে বাড়ির দরজায় বড় এক তালা ঝুলিয়ে বাড়ির উঠোনে চলে আসে আশিন। একটি সিএনজি ভাড়া করেছিলো শান্তিপুরের বাস স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য সেটাই গেইটের সামনে দাড় করানো।গ্রামে বলতে গেলে এলাকাবাসীদের তুলনায় বাইরে থেকে যেসব ডাক্তাররা আসে তাদের জন্য খুব ভালো এসবের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।আশিনদের বাড়িটিও বেশ সুন্দর। হেঁটে গিয়ে সিএনজিতে উঠে পড়ে বাপ মেয়ে। রবিন সাহেব হেলান দিয়ে বসেন।মেয়েকে বলেন,“ মা -রে আমার জন্য তোর অনেক কষ্ট হচ্ছে না রে?”
আশিন বাবার দিকে তাকায়।মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে।রোগা-সোগা হয়ে গিয়েছেন কয়েকদিনেই। আশিন বিরোধিতা করে বলে,“ এমন কিছুই না বাবা। তুমি বেশি ভাবছো।”
রবিন সাহেব শুকনো মুখে ক্ষীণ হাসেন।চোখ বুজে বসে থাকেন।রাস্তার মাঝখানে হঠাৎ সিএনজিটা থেমে যায়।আশিন ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করতে যাবে কেন থামিয়েছে?তখন ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে পড়ে উৎস।উৎসকে দেখতেই ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ভ্রুকুটি করে আশিন।সিএনজি আবারও চলতে শুরু করে।উৎস একবার পেছনে তাকিয়ে রবিন সাহেবকে দেখে।কিন্তু আশিনের দিকে ফিরেও তাকায় না। আশিনও অন্যদিকে মুখ করে বসে আছে।উৎস সিএনজি ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করে ওঠে,“ মামা আমগো গ্রাম থেইকাও তো দুজন নিখোঁজ হইলো!”
“ হ। এহন তো রাইত বিরাইতে গাড়ি চালাইবারও ডর করে আমগো।এইলেইগাই হক্কাল থেইকা বিক্কাল সং গাড়ি চালাই।”
আশিন পেছন থেকে শোনে কথাগুলো।তবে উৎসাহ দেখায় না আর না কৌতূহল।আশিন শুনেছে এই গ্রাম থেকেও নাকি বৃদ্ধ দুজন নিখোঁজ হয়েছে।এরপর থেকে বাবার জন্য অনেক চিন্তিত আশিন।ঢাকায় গেলে অন্তত চিন্তা একটু হলেও কমবে।উৎস এবার আশিনকে কটাক্ষ করেই বলে,“ এইজন্যই মনে হইতাছে আজকাল বাপেরে নিয়া মানুষজন ঢাকায় যাওয়াও শুরু কইরা দিছে।”
সিএনজি ওয়ালা দাত বের করে হাসেন।সহমত প্রকাশ করেন নিজেও।আশিন সেসবে গুরুত্ব দেয় না।রবিন সাহেব চেনা পরিচিত আওয়াজ শুনে চোখ তুলে সামনে তাকাতেই উৎসকে বসে থাকতে দেখে বলে ওঠেন,“ আরেহ উৎস বাবা না?কেমন আছো?”
উৎস পেছনে ফিরে হাসিমুখে আন্দোলিত হয়ে প্রত্যুত্তর করে,“ ভালো আছি আঙ্কেল।তবে শুনলাম আপনি নাকি অনেক অসুস্থ এজন্য খারাপ লাগছে অবশ্য।”
রবিন সাহেব হাসেন,“ আমাদের এখন ওপরে চলে যাওয়ার বয়স বাবা।এই সময়ে কি আর সুস্থ থাকে মানুষ?আমার জন্য চিন্তা নেই আমার মেয়ের জন্য অনেক চিন্তা হয়।মেয়ের বয়স হয়েছে।অথচ দেখো এখনও অবিবাহিত।আমি না থাকলে মেয়ের কি হবে ভাবলে আমার নিজেরই বেশি খারাপ লাগে।”
ক্রুর হাসে উৎস।আশিন উৎস’র দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে বাবাকে বলে,“ বাবা এসব কথা বাদ দাও।তুমি খুব তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে উঠবে।”
উৎস ফোড়ন কেটে রবিন সাহেবের কথার জবাবে বলে,“ মেয়ের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিন আঙ্কেল। এই বয়সে অবিবাহিত মেয়ে তো খুব কম।পাত্রের চিন্তা করবেন না।আশেপাশে চতুর্দিকে অভাব নেই। সুযোগ্য পাত্র খুজলে আমারে বইলেন।”
রবিন সাহেব বলেন,“ তা আর বলতে। মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে হবে তাড়াতাড়ি। তা বাবা তুমি কোথায় যাচ্ছো?”
উৎস একবার আশিনের দিকে তাকায়।উত্তর দেয়,“ ঢাকায় যাচ্ছি।আমার ভাই উচ্ছ’র কাছে।ছেলেটা নাকি কোন এক মেয়ের সাথে…”
থেমে একটু উচ্চৈস্বরে বাকি কথাটা বলে,“ দীর্ঘদিনের প্রেমে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলো।এখন বিয়ে করার মতো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তারই খোজে যাচ্ছি।”
রবিন সাহেব বলেন,“ বয়স তো তোমাদেরও কম হলো না।ভালো হয়েছে বিয়ে করে নেওয়া উচিত।তা তোমার ভাই বিয়ে করার চিন্তা ভাবনা করছে তুমি চিন্তাভাবনা করছো না?”
উৎস ঠোঁট বাকিয়ে হাসে।কথাটা ভীষণ মজাদার।উচ্ছ্বসিত হয়ে উত্তরে বলে,“ পছন্দ আছে আঙ্কেল তবে ওপাশ হতে হান্ড্রেড পার্সেন্ট অপছন্দ।তাইতো পিরিতে বসতে পারছি না।”
রবিন সাহেব বলেন,“ এটা আবার কেমন কথা? মেয়ে কি তোমায় পছন্দ করে না?তুমি তো বাবা সুললিত সৌকুমার্য। যতটুকু জানি তোমায় বখাটে বললেও তুমি সবাইকে উপকার করো।গুণেও ভালো লেখাপড়াতেও ভালো।শুধু কাজকর্ম করো না এটাই।তবে এমন কেন?”
বিরবির করে উৎস বলে,“ আপনার মেয়েকেই জিজ্ঞাসা করুন না।”
আশিনের দিকে তাকিয়ে সামনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে মুখে বলে,“ দেমাগ একটু বেশিই আরকি।”
রবিন সাহেব হেসে ওঠেন।আশিন বাবাকে মেকি শাসিয়ে বলে,“ বাবা তোমার শরীর খারাপ এত কথা বলছো কেন?”
রবিন সাহেব মেয়ের কথায় চুপ হয়ে যান।স্টেশনের সামনে আসতেই গাড়ি থেকে নেমে যায় আশিন আর রবিন সাহেব।উৎসও সাথে নামে।রবিন সাহেব উৎসকে দেখে বলে,“ তুমিও কি বাবা বাসে করে যাবে?”
“ জ্বি আঙ্কেল।আমি ঢাকায় গেলে বাসে করেই যায়। বাড়ির গাড়িতে করে যাওয়ার মানসিকতা থাকে না আঙ্কেল।”
দাঁড় করানো ঢাকাগামী বাসের ওপর ওঠে আশিনরা।সামনের তিন সিট পেরিয়ে তাদের সিট। আশিন তার বাবাকে জানালার পাশের সিট দিলো।আর সে বাবার পাশে বসলো।উৎসও উঠে আসে আর আশিনের অপর পাশের সিটে বসে পড়ে। আশিন চোখ ছোট করে তাকায় একবার।উৎস নির্লিপ্ত ভঙ্গিমায় বসে আছে।আশিন বুঝতে পারছে না এই ছেলের সমস্যা কি?মূর্তির মতো বসে থাকে নিজেও।গাড়ি চলতে শুরু করে।বেগ বেশি হওয়ায় বাইরের ঠান্ডা বাতাস গায়ে এসে লাগছে আর চুলগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে আশিনের।কিছু চুল মুখে এসে পড়ছে।আশিন সেগুলো বার বার ঠিক করছে।
এপাশে থাকা উৎস অনেক্ষণ ধরেই আশিনের দিকে তাকিয়ে আছে।মুখ নাড়িয়ে আশিনকে ছোট্ট করে কেমন আবেগী স্বরে বলে,“ এই সুন্দর চুল বার বার ঠিক করে দেওয়ার জন্য হলেও তোমার বিয়ে করা উচিত ড.।”
চলবে… ….