সেদিন ও সে [পর্ব-০৭]
পেখম এখনো বিছানায় স্তব্ধের মতো বসে আছে। নওশিরের মাঝে তেমন কোনো হেলদোল নেই। সেও পেখমের দিকে তাকিয়ে আছে নীরব দৃষ্টিতে। […]
পেখম এখনো বিছানায় স্তব্ধের মতো বসে আছে। নওশিরের মাঝে তেমন কোনো হেলদোল নেই। সেও পেখমের দিকে তাকিয়ে আছে নীরব দৃষ্টিতে। […]
থালা-বাসনের ঝনঝন শব্দে তরুর ঘুম ছুটে গেলো। আধো-আধো ঘুমে তরুর মনে হলো, সে কোনো গৃহিণীর সাধের রান্নাঘরের মেঝেতে শুয়ে আছে।
এই পাহাড়টা আমার কবর হতে পারত… এখন এটাকেই আশ্রয় বানাতে চাই।” পেখম জানে সে পাখি ছিল। উড়তে পারত, স্বপ্ন দেখত।
ময়মনসিংহে ভোর হচ্ছে। ময়মনসিংহে ভোর আসে খুব আয়োজন করে। ধপ করে সূর্য উঠে যায় না। তরুর অবশ্য ভোর হওয়া নিয়ে
আমার চোখ দুটো বর্ষার দিনের প্রশান্ত পুকুরের মতো টলটলে জলে ভরে গেল। দুই চোখ ভর্তি অভিমান নিয়ে বললাম, ‘তাহলে সব
সেদিনের পর সাতেক-বাদে পেখমকে বাসায় আনা হয়েছে। পেখম কারো সাথে কথা বলছে না, এমনকি পল্লবী বেগমের সাথেও না। সৌজন্য পেখমের
শাড়ির আচঁলটা ডানহাতে কায়দা করে পেঁচাতে ব্যস্ত তায়েফ, চোখের দৃষ্টি শান লাগালো ছুড়ির মতো ধারালো হয়ে আছে। আচঁলে টান খেতেই
নিজের বক্তব্য টুকু শেষ করে সৌজন্যের দিকে তাকাল সৌজন্যের খালা। সৌজন্য লজ্জিত ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে আছে। খালার কথা শুনে
নতুন শহরের অচেনা পরিবেশে যখন আমি একাকিত্বের সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিলাম, তখন পাশের এপার্টমেন্ট থেকে ভেসে আসা গিটারের ছন্দ, গানের সুর
ওই জা’নোয়ারটা তোকে কি করেছে সত্যি বল! ঠোঁটে কাপড় বেঁধে দিলে ওমন লাল হয়? লাল কেনো হয় আমি কি জানিনা?