প্রণয় প্রহেলিকা [পর্ব-২৮]
কাকভেজা হয়ে বাড়ি ভিড়তেই দরজা খুলে দিলেন সুভাসিনী বেগম। তার মুখ থমথমে। অনল কারণ শুধাতেই তিনি বললেন,“সেলিম ভাই এসেছেন”সুভাসিনীর কথাটা […]
কাকভেজা হয়ে বাড়ি ভিড়তেই দরজা খুলে দিলেন সুভাসিনী বেগম। তার মুখ থমথমে। অনল কারণ শুধাতেই তিনি বললেন,“সেলিম ভাই এসেছেন”সুভাসিনীর কথাটা […]
বাগানের নির্জন কোণে নীরবে বসে আছে জুলফা। হাঁটু দুটি বুকের কাছে টেনে চিবুক তাতে ঠেকিয়ে ভাবনার গহীনে হারিয়ে গেছে। ঘন
ঝড়ের তান্ডবের তীব্রতা বেড়ে গেছে। কারেন্টের খবরাখবর পাওয়া যায় নি এখনো। নিকষকৃষ্ণ আঁধারে তুষারের সান্নিধ্য পেয়ে কেমন নেতিয়ে গেল হৈমন্তী।
দিগন্তের কথার ভোল সন্দীহান ঠেকলো। ধারাকে ঠেস মেরে যখন কথাটা বললো, তখন ই বন্ধুমহলের উত্তেজনা বাড়লো। ধারার ভ্রু কুচকে এলো,
রবিন সাহেব ছিলেন আশিনের বাবার বিশ্বস্ত একজন কর্মচারী। আদ্রিয়েন সাহেবের মৃত্যুর পর রবিন সাহেবও উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। বড় হওয়ার পর
নওয়াজের অন্তরের গোপন গলিঘুপচি থেকে বহুদিনের সঞ্চিত অনুভব ফেটে বেরিয়ে এলো৷ গুলনূরের মুখে হাত রেখে তার কপালের রেখা ছুঁয়ে বললেন,
সেই সকাল থেকেই টিভিতে প্রতিটি চ্যানেলে এক খবরই প্রচারিত হচ্ছে—“আইটি কোম্পানির সিইও মুনাওয়ার নিহালকে খুন করা হয়েছে। লাশ পরিত্যক্ত এক
বাইক চলছে বিভোরের দেওয়া গতিতে।বিভোরের পেট জড়িয়ে ধরে ধারা বসে আছে পিছনে।চারিদিক নিস্তব্ধতায় থম মেরে আছে।বাতাসে স্নিগ্ধ ঢেউ।তারার রূপালি আগুন
এক নিঃশ্বাসে কথাটা বলে নতমস্তক দাঁড়িয়ে রইলো ধারা। অনলের রাগ উগরানোর অপেক্ষা করতে লাগলো সে। কিন্তু তেমন কিছুই ঘটলো না।
সবুজ রঙের শাড়িটির অনেকাংশ ভিঁজে গেছে। কাগজের প্যাকেটটা আধছেঁড়া হয়ে পরে আছে ফ্লোরে। চেয়ার টেনে সেখানে শাড়িটি মেলে দিলো হৈমন্তী।