হৈমন্তীকা [পর্ব-৩৩]
সিলিং ফ্যানের ভনভন শব্দ কাঁপিয়ে তুলছে পুরো রুম। ভ্যাপসা গরমের দরুণ শরীরে বাতাসের ছিটেফোটাও লাগছে না। রাবেয়াকে ফ্যানের গতি বাড়িয়ে […]
সিলিং ফ্যানের ভনভন শব্দ কাঁপিয়ে তুলছে পুরো রুম। ভ্যাপসা গরমের দরুণ শরীরে বাতাসের ছিটেফোটাও লাগছে না। রাবেয়াকে ফ্যানের গতি বাড়িয়ে […]
সকালের সূর্য মাথার উপর চলে এসেছে। জেম্বা নতজানু হয়ে বসে আছে। মুখ তুলে তাকানোর সাহস নেই। একদিকে বিভোর,অন্যদিকে ধারা। দু’টি
মাহির কথাটা শেষ না হতেই দিগন্তের আগমণ ঘটলো। ছুটে এসে বলল, “কুইজ ক্যান্সেল, অনল স্যারের শরীর খারাপ” কথাটা কর্ণপাত হতেই
বাগান থেকে সবজির ঝুড়ি নিয়ে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিল গুলনূর। হঠাৎ কানে এলো চাকর-বাকরদের আনন্দমুখর কলরব! জাওয়াদ ফিরে এসেছে! শুনেই তার
বাতাসের এলোমেলো ঝাপটায় ঘুমন্ত তুষারের ঝাঁকড়া চুলগুলো বিরতিহীন ভাবে উড়ছে। স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে তাকে। নবজাত শিশুর ন্যায় আদুরে ভঙ্গিতে ঠোঁট হালকা
“ মাফিয়া নই আমি, তবে মাফিয়ার থেকেও ভয়ানক কেউ।’’ভারী গলায় কথাটা পাশের বারান্দা থেকেই বললো বাহারাজ। স্মরণ শুনলো। ভয় পেলেও
ডেমরার তিব্বত পথ দিয়ে একা যাচ্ছে।বিভোরের জানা নেই, সাউথ কল দিয়ে এসে ফেরত নর্থ কল দিয়ে যাওয়া যায় নাকি।যেহেতু ডেমরার
ধারা বিস্মিত কন্ঠে বললো, “কেনো?” এবার একটু থামলো অনল। মিনিট দুয়েক চুপ করে থাকলো। তারপর মুখ গোল করে একটা উত্তপ্ত
দু’টো মাসে নিজের হিংস্রতা দিয়ে অতিষ্ঠ করে দেওয়া নিষ্ঠুর, পাষাণ গ্রীষ্ম বিদায় নিয়েছে আজ প্রায় অনেকদিন। পৃথিবীতে আষাঢ় নেমেছে। নেমেছে
কোনো সাড়া নেই৷ নিস্তব্ধতা আরও গাঢ় হয়ে আসে। ললিতা এলোমেলো দৃষ্টিতে চারপাশ দেখলেন। এদিক-ওদিক তন্নতন্ন করে কাউকে খুঁজলেন, চারপাশ নিস্তব্ধ,