নবোঢ়া [পর্ব ৫০ শেষ অংশ]
শব্দর দ্বিতীয় তলার বারান্দা অতিক্রম করে ঘরে ঢুকে দেখে, আয়নার সামনে বসে জুলফা তার চুলের খোঁপায় রূপার কাঁটা গাঁথছে। ঘরের […]
শব্দর দ্বিতীয় তলার বারান্দা অতিক্রম করে ঘরে ঢুকে দেখে, আয়নার সামনে বসে জুলফা তার চুলের খোঁপায় রূপার কাঁটা গাঁথছে। ঘরের […]
রাতের চাদরটা তখনও পুরোপুরি গুটিয়ে নেয়নি আকাশ। দিগন্তের কিনারায় সূর্যটা তার প্রথম আলোর আঁচল মেলে ধরেছে। সিদ্দিক সবজি বাগানে হেঁটে
বিবাহানুষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে সেই সপ্তাহের শুক্রবার নির্ধারিত থাকলেও পরবর্তীতে পারিবারিক মশোয়ারায়, সবার সম্মতিতে অনুষ্ঠানটা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাগানের নির্জন কোণে নীরবে বসে আছে জুলফা। হাঁটু দুটি বুকের কাছে টেনে চিবুক তাতে ঠেকিয়ে ভাবনার গহীনে হারিয়ে গেছে। ঘন
নওয়াজের অন্তরের গোপন গলিঘুপচি থেকে বহুদিনের সঞ্চিত অনুভব ফেটে বেরিয়ে এলো৷ গুলনূরের মুখে হাত রেখে তার কপালের রেখা ছুঁয়ে বললেন,
মুহূর্তটা যেন কোন অলৌকিক শক্তি নিজের হাতে থামিয়ে দিল। চারদিক নিস্তরঙ্গ হয়ে গেল। একটা অদৃশ্য আবরণ নামল সবার ওপর। দাসীরাও
কোহিনূর দ্রুত পায়ে ঘরে প্রবেশ করে ভারী নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে দেহটা নামিয়ে বসেন পালঙ্কে। হাত থেকে লাঠিটি গড়িয়ে পড়ে মেঝেতে।
নাভেদের হারবাল বিষবিজ্ঞান, পুরাতন শাস্ত্র এবং অদৃশ্য প্রাণরহস্যের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন হিমালয়ের প্রত্যন্ত এক পর্বতগাত্রে অভিযানে গিয়ে
সুফিয়ান বিস্ময়মিশ্রিত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘নাভেদ, তুমি এখানে! সারাদিন কোথায় ছিলে?’ তার কণ্ঠ শুনে জুলফার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ শিহরণে কেঁপে ওঠে। আতঙ্কের
বারান্দার কোণায় পাতা দুটো কাঠের চেয়ার। একটিতে বসে আছেন কোহিনূর। অন্যটিতে জাওয়াদ। একজন পরিচারিকা ধীরে ধীরে এসে সামনের ছোট টেবিলে