নবোঢ়া [পর্ব ৪২]
বাগান থেকে সবজির ঝুড়ি নিয়ে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিল গুলনূর। হঠাৎ কানে এলো চাকর-বাকরদের আনন্দমুখর কলরব! জাওয়াদ ফিরে এসেছে! শুনেই তার […]
বাগান থেকে সবজির ঝুড়ি নিয়ে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিল গুলনূর। হঠাৎ কানে এলো চাকর-বাকরদের আনন্দমুখর কলরব! জাওয়াদ ফিরে এসেছে! শুনেই তার […]
কোনো সাড়া নেই৷ নিস্তব্ধতা আরও গাঢ় হয়ে আসে। ললিতা এলোমেলো দৃষ্টিতে চারপাশ দেখলেন। এদিক-ওদিক তন্নতন্ন করে কাউকে খুঁজলেন, চারপাশ নিস্তব্ধ,
সবুজ ঘাসে খালি পায়ে উদাসমনে হাঁটছে রাইহা। কান্তারপুরের এই জমিদার বাড়িতে সে কিছুদিন আগ অবধি ভালো ছিল। কোথাও কোনো শূন্যতা
জাওয়াদ দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। গোধূলির ম্লান আলো ঘরটাকে অদ্ভুত বিষণ্ণতায় ঢেকে রেখেছে। জুতো খুলতে খুলতে
জাওয়াদ কোহিনূর বেগমের হাত ধরল, তারপর আস্তে আস্তে তাকে বিছানায় বসিয়ে প্রাণভরে শ্বাস নিয়ে বলল, “গুলনূর… ওর মতো নিষ্পাপ, সরল
বাইরে কালবৈশাখীর রুদ্র তাণ্ডব। ঝোড়ো হাওয়ার শিস, মেঘের গর্জন, আর প্রকৃতির প্রচণ্ড শক্তির উন্মাদনায় পুরো শহর কাঁপছে। রাতের বৃষ্টি থেমে
কৃষ্ণচূড়ার কাব্য (পরিবর্তিত নাম) শঙ্খিনী হাঁক দিল, “বেগম সাহেবা, কেউ একজন আইছে।” জুলফা ভেতর থেকে উৎসুক চোখে এগিয়ে এল। “কোথায়?”
দিনভর থমথমে গরমে সারা শহর হাঁসফাঁস করেছে। বিকেলের দিকে আকাশের গায়ে ভেসে উঠল পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘের পাল। একটু
জ্ঞান ফিরতেই জাওয়াদের চোখে পড়ল তার মুখের ওপর কয়েকটি অপরিচিত মুখ ঝুঁকে আছে। সে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল। পিঠের হাড়গুলোতে তীব্র
ঢালু গলি বেয়ে ছুটে চলেছে জাওয়াদ আর গুলনূর। জাওয়াদের পা টলছে, নিঃশ্বাস ভারী। পিঠের ক্ষত থেকে টপটপ করে রক্ত ঝরছে,