নবোঢ়া [পর্ব-৩২]
সুফিয়ান ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন আড়তের ভেতরে। ডান দিকে ধানের বস্তার সারি, বাঁ দিকে পাটের আঁটি। দুইয়েরই একই অবস্থা, কেনার […]
সুফিয়ান ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন আড়তের ভেতরে। ডান দিকে ধানের বস্তার সারি, বাঁ দিকে পাটের আঁটি। দুইয়েরই একই অবস্থা, কেনার […]
নীল রঙের গাড়িটা চুপিসারে এগিয়ে চলছে রাতের অন্ধকারে। জাওয়াদ স্টিয়ারিং শক্ত করে ধরে রেখেছে, তার চোখে-মুখে এখনো রাগের আভাস। পাশের
সন্ধ্যার অস্পষ্ট আলোয় সুফিয়ান বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন। তার শরীরের প্রতিটি পেশী অবসন্নতায় ভারাক্রান্ত। ব্যবসায়ে আকস্মিক বিপর্যয়, তার ওপর খামারের গরুগুলোর একযোগে
রাইহার ঘুম ভাঙল একটা অদ্ভুত স্বপ্নের মাঝখানে। বিছানায় উঠে বসে কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ হয়ে রইল। মনের পর্দায় তখনও নাচছে স্বপ্নের টুকরো
গুলনূরের সঙ্গ জাওয়াদের ক্ষত-বিক্ষত মনের মলম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন বিকেল নামলেই জাওয়াদের চোখ খুঁজে বেড়ায় গুলনূরকে। কখনও বাগানের নিরালায়, কখনও
জুলফা পিছিয়ে গেল। তার বুকের ভেতরটা থরথর করে কাঁপছে। চোখের সামনে ভেসে উঠল নাভেদের মুখ। সে কথা তো কাউকে বলা
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই জাওয়াদ তার ঘর থেকে বেরিয়ে এল। মনের আকুলতা তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল রান্নাঘরের দিকে। গুলনূরকে
সকাল থেকেই জাওয়াদের মন অস্থির। বারান্দার চেয়ারে বসে বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। কখনো উঠে পায়চারি করছে, কখনো জানালার পাশে দাঁড়িয়ে
বারান্দার পূব কোণে সুফিয়ান ভুইয়া তার পুরনো কাঠের চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন। পাশের চেয়ারে স্ত্রী ললিতা। সামনে বিস্তীর্ণ আম
মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে পড়ে জাওয়াদের চাপা পায়ের শব্দে। বাড়ির অন্য সবাই হয়তো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। শুধু জাওয়াদের ঘরে জ্বলছে একটা