নবোঢ়া [পর্ব-২২]
গ্রীষ্মের দুপুরে আকাশে সূর্য তার সমস্ত তেজ নিয়ে জ্বলজ্বল করছে, ছড়িয়ে দিচ্ছে সোনালি আভা। সেই সোনামাখা রোদ্দুর জগৎকে এক স্বর্ণময় […]
গ্রীষ্মের দুপুরে আকাশে সূর্য তার সমস্ত তেজ নিয়ে জ্বলজ্বল করছে, ছড়িয়ে দিচ্ছে সোনালি আভা। সেই সোনামাখা রোদ্দুর জগৎকে এক স্বর্ণময় […]
গুলনূরের চোখে যে ভয়ার্ত দৃষ্টি, তা দেখে জাওয়াদের শরীরেও একটা অজানা শিহরণ খেলে যায়। মেয়েটির সারা দেহ কাঁপছে, যেন কোনো
জুলফা চোখ মেলে নিজেকে এক বিশাল বটগাছের কুঞ্জিত শিকড়ে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখতে পায়। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নাভেদ,
বসন্ত শেষের দিকে। গ্রীষ্মের আগমন চলছে। প্রকৃতি নিঃশ্বাস ফেলে বলছে, “এবার আমার বিদায়ের পালা।” গাছের পাতাগুলো ইতিমধ্যে হলদেটে হয়ে উঠেছে।
সোনালি রোদে ঝলমল করছে জমিদারবাড়ির চারপাশের মাঠ। দূরে দেখা যায় ছোট ছোট খামারবাড়ির সারি, ছবির মতো সাজানো। ঘাসের সবুজ গালিচায়
জাওয়াদের গাড়ি নীরব রাতের বুকে এগিয়ে চলছে। কিছুদূর যেতে না যেতেই তার মনে একটা অস্বস্তি দানা বাঁধতে শুরু করে। গুলনূরকে
শব্দরের পা দুটো নিজের থেকেই চলতে শুরু করে সুফিয়ানের ঘরের দিকে। সুফিয়ান প্রায়শই দুঃস্বপ্নের কবলে পড়ে চিৎকার করেন, যা তার
দুপুরের নরম রোদ ঝিলিক দিচ্ছে জমিদারবাড়ির প্রাচীন ভোজনালয়ে। বংশ পরম্পরায় চলে আসা মূল্যবান কাঠের টেবিলটি আজও গর্বভরে দাঁড়িয়ে আছে, অসংখ্য
জাওয়াদ ধীরে ধীরে আলমারির দরজা বন্ধ করে পেছনে ফিরতেই তার চোখ পড়ল দরজার কাছে দাঁড়ানো মায়ের দিকে। ললিতার চোখে জল।
বসন্তের কোমল রোদ্দুরে ভরা দুপুরবেলা। বাতাসে ভেসে আসছে নতুন গজানো পাতার মিষ্টি গন্ধ। রাইহা, যে সর্বদা নাভেদের সান্নিধ্য খুঁজে বেড়ায়,