নবোঢ়া [পর্ব-১২]
হারিকেনের আলোয় ঘরের মধ্যে একটা অস্বস্তিকর নীরবতা। পালঙ্কের ওপর জুলফা মুখ ফিরিয়ে বসে আছে, তার সারা শরীর পাথরের মতো শক্ত। […]
হারিকেনের আলোয় ঘরের মধ্যে একটা অস্বস্তিকর নীরবতা। পালঙ্কের ওপর জুলফা মুখ ফিরিয়ে বসে আছে, তার সারা শরীর পাথরের মতো শক্ত। […]
দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ থাকার পর ভাতিজা ফিরে এসেছে। এই খবর শুনে শব্দরের বুকের ভেতর আনন্দের ঢেউ খেলছে। তার চোখে মুখে ফুটে
বারান্দায় পায়চারি করছিলেন সুফিয়ান ভুঁইয়া। তার হাতের লাঠিটি মাঝে মাঝে মেঝেতে ঠুকে উঠছিল, সেটাই তার অস্থিরতার প্রতিধ্বনি। বৃদ্ধের চোখে উদ্বেগের
চাঁদের রূপালি আলো ছড়িয়ে পড়েছে জুলফার ওপর। তার পরনে একটি সাদা রঙের শাড়ি, যার ওপর সোনালি সুতোয় কাজ করা নক্ষত্রের
শব্দর গম ক্ষেতগুলি একে একে নাভেদকে দেখিয়ে বলল, “দেখুন, এখানে আমরা প্রকৃতির সাথে মিলে চাষ করি। আমাদের চাষীরা সবসময় মাটি
সন্ধ্যার আলো-আঁধারি মুহূর্তে, জমিদার বাড়ির প্রাচীন অট্টালিকা এক রহস্যময় সৌন্দর্যে মোড়া। আকাশের বুকে লাল-কমলা রঙের আঁচড়। বাগানের ফুলগুলো ধীরে ধীরে
আজ সূর্য আলো ছড়ায়নি। সময়টা দুপুর কিন্তু চারপাশের আবহ দেখে মনে হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে রাত নেমে আসবে। বেদেদের নৌকাগুলো পুষ্পনদীর
শব্দর নাম উল্লেখ করে যখন জুলফার সম্পর্কে বলে, নাভেদ অজানা কারণে আশ্চর্য ও বিমূঢ় হয়ে যায়। জমিদার বধূর সাথে সে
জমিদার বাড়িতে আত্মীয় পদচারণের পূর্বে কন্যা-বধূদের সাজগোজ করার নিয়ম৷ এতে জমিদারের বাড়ির প্রাধিকার এবং শ্রীমতির অভিন্ন অংশ প্রকাশ পায়। জুলফা
-বনের মাঝে দুটি বটগাছ। তাদের প্রকাণ্ড আকারের কাণ্ড থেকে ছড়িয়ে থাকা ঘন শাখা-প্রশাখার নিচে জমাট বেঁধে আছে অন্ধকার। সে অন্ধকারে