বৃষ্টি হয়ে নামো [শেষপর্ব]
বাইক চলছে বিভোরের দেওয়া গতিতে।বিভোরের পেট জড়িয়ে ধরে ধারা বসে আছে পিছনে।চারিদিক নিস্তব্ধতায় থম মেরে আছে।বাতাসে স্নিগ্ধ ঢেউ।তারার রূপালি আগুন […]
বাইক চলছে বিভোরের দেওয়া গতিতে।বিভোরের পেট জড়িয়ে ধরে ধারা বসে আছে পিছনে।চারিদিক নিস্তব্ধতায় থম মেরে আছে।বাতাসে স্নিগ্ধ ঢেউ।তারার রূপালি আগুন […]
হিংস্র জন্তুর মতো গর্জে উঠছে বৃষ্টি। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আকাশ জুড়ে।জানালা দুটো খোলা। জানালা দিয়ে আসা বাতাস রুমটিকে ঘিরে প্রেতাত্মার কান্নার
বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যা মানে দারুণ কিছু অনুভূতি, স্নিগ্ধ কিছু সময়।কিন্তু ধারার কাছে সময়টা প্রলয়কারী ঝড়ের মতো মনে হচ্ছে।মনটা ‘কু’ গাইছে কখন
— “কিরে বল?” সাফায়েতের গলার স্বর শুনে কেঁপে উঠলো ধারা।লিয়া ধারাকে আশ্বস্ত করে বললো, — “মনে যা আসে বলে দাও।ভয়
এয়ারপোর্টে পৌঁছাতেই উটকো ঝড়ের মতো এক দল সাংবাদিক এসে ভীর জমায়।বিভোরের এক হাতের আলিঙ্গনে আবদ্ধ ধারা।কাগজ ও টিভি চ্যানেল সাংবাদিকরা
সকালের সূর্য মাথার উপর চলে এসেছে। জেম্বা নতজানু হয়ে বসে আছে। মুখ তুলে তাকানোর সাহস নেই। একদিকে বিভোর,অন্যদিকে ধারা। দু’টি
ডেমরার তিব্বত পথ দিয়ে একা যাচ্ছে।বিভোরের জানা নেই, সাউথ কল দিয়ে এসে ফেরত নর্থ কল দিয়ে যাওয়া যায় নাকি।যেহেতু ডেমরার
চারদিক নিস্তব্ধতায় একাকার।বুকটা শূন্যতায় খাঁ খাঁ করছে।কেউ নেই পাশে।কেউ নেই।পুরো দুনিয়াতে একা একমাত্র সে বেঁচে আছে।এমন একটা অনুভূতি নিয়ে নীরবে
শহর জুড়ে সকালের মিস্টি রোদের ছড়াছড়ি।সেই সাথে হালকা মৃদু হাওয়া।দিনটার আবহাওয়া ভারী সুন্দর।ঠিক যতটা সুন্দর আজকের দিনটা ঠিক ততটাই খারাপ
দুটো শৃঙ্গের মাঝে কোন নিচু সমতল জায়গা থাকলে তাকে ‘কল’ বলে। সাউথ কল হলো এভারেস্ট আর লোৎসের মাঝের নিচু জায়গা।