বৃষ্টি হয়ে নামো [পর্ব-১৬]
আজও সবার আগে বিভোরের ঘুম ভাঙ্গে।ফ্রেশ হয়ে সায়নকে ডেকে তুলে।তারপর দিশারিকে।ধারার রুমের সামনে এসে থমকে যায়।গতকাল রাতের কথা মনে পড়ে।সকাল […]
আজও সবার আগে বিভোরের ঘুম ভাঙ্গে।ফ্রেশ হয়ে সায়নকে ডেকে তুলে।তারপর দিশারিকে।ধারার রুমের সামনে এসে থমকে যায়।গতকাল রাতের কথা মনে পড়ে।সকাল […]
পাঁচ-ছয় জন লোক বিভোরকে ঘিরে দাঁড়ায়।সায়ন,দিশারি দুজনের চোখেমুখে ভীতি।একজন লোক ইংলিশে বলে,—–“সামনের বাজারে ফার্মেসী দেখেছি।প্লীজ আহতকে নিয়ে চলুন।”এমন কড়কড়া ইংলিশ
ক্যাবল কারে চড়া শেষ হয় বিকেলের মধ্যে।৪:৩০ মিনিটে ড্রাইভার বিভোরদের চকবাজারের দার্জিলিং মলে নামিয়ে দিল।এই স্থানকে দার্জিলিংয়ের হার্ট বলা হয়।প্রচুর
পরদিন সকাল ছয় টায় ঘুম ভাঙলো ধারার।আড়মোড়া ভেঙে জানালার পাশে এগিয়ে আসে। জানালায় ভারি পর্দা ছিল।পর্দা সরাতেই মুখ দিয়ে একটি
বিভোরের ভাবনার সুঁতো ছিড়ে ফোনের রিংটোনে।প্যান্টের পকেট থেকে ফোন বের করে।দিশারি কল করেছে।বিভোর উঠে বসে রিসিভড করলো। ——-“হুম বল?” ——-“দোস্ত
ধারা বিভোরকে রুমে না পেয়ে হোটেলের বাইরে বেরিয়ে আসে।পরনে লাইট ব্লু জিন্স,স্লিভলেস ডেনিম শার্ট,লেদারের জ্যাকেট।পায়ে হাই নেক কেডস।সন্ধ্যার পর পর
দিশারি ঝাঁপ দিয়ে নামে।বিভোরের খেয়াল হয়।দ্রুত ধারাকে হাতের বন্ধন থেকে মুক্ত করে সরে আসে।প্রায় ২০-৩০ মিনিট পর সবাই উপরে উঠে
জিপে উঠে দিশারি বললো, ——“নেক্সট প্ল্যান কি?” বিভোর আয়েশি ভঙ্গিতে সিটে হেলান দিয়ে চোখ বুজে।তারপর দায়সারাভাবে বললো, ——“তোরা প্ল্যান কর।”
তখন রাত তিনটে।বিভোরের ঘুম ভেঙ্গেছে দুটোর দিকে।তারপর আর ঘুমোয়নি।সে টাইগার হিল-এ বিশ্ববিখ্যাত সূর্যোদয় ধারা,দিশারি সায়নকে দেখানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা
ওরা দার্জিলিংয়ে পৌঁছায় সন্ধ্যায়।ব্যাগপ্যাক, লাগেজ নিয়ে সবাই জিপ থেকে নেমে রাস্তার একপাশে দাঁড়ায়।ক্ষুধায় সবার পেটে তখন ইঁদুর দৌড়ছিলো। সায়ন পেটে