হৈমন্তীকা [শেষ পর্ব]
রুমের বাতি জ্বালানো নেই। বারান্দা আর জানালা গলিয়ে আলো উপচে পরছে রুমের আনাচে-কানাচে। এসির পাওয়ার বাড়ানো। চারপাশের শীতলতায় তীব্র কাঁপুনি […]
রুমের বাতি জ্বালানো নেই। বারান্দা আর জানালা গলিয়ে আলো উপচে পরছে রুমের আনাচে-কানাচে। এসির পাওয়ার বাড়ানো। চারপাশের শীতলতায় তীব্র কাঁপুনি […]
ঝড়ের তান্ডবের তীব্রতা বেড়ে গেছে। কারেন্টের খবরাখবর পাওয়া যায় নি এখনো। নিকষকৃষ্ণ আঁধারে তুষারের সান্নিধ্য পেয়ে কেমন নেতিয়ে গেল হৈমন্তী।
সবুজ রঙের শাড়িটির অনেকাংশ ভিঁজে গেছে। কাগজের প্যাকেটটা আধছেঁড়া হয়ে পরে আছে ফ্লোরে। চেয়ার টেনে সেখানে শাড়িটি মেলে দিলো হৈমন্তী।
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে। অস্বাভাবিক শান্ত বাতাসে শরীর শিরশির করে উঠছে। রেলিং গলিয়ে একবার নিচে উঁকি
বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুপঝুপ শব্দ তীব্র কোলাহল সৃষ্টি করছে কর্ণকুহুরে। বাতাসে এক আলাদাই মিষ্টি, মিষ্টি ঘ্রাণ। ঠান্ডা মৌসুমে সামান্য উষ্ণতার আভাস
দরজা খুলে তুষার আর হৈমন্তীকে একসঙ্গে দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হেনা। বিস্ময়ে চোখ দু’টো স্বাভাবিকের চেয়েও বড় দেখাচ্ছে। কপাল কুঁচকে গেছে। কণ্ঠ
সিলিং ফ্যানের ভনভন শব্দ কাঁপিয়ে তুলছে পুরো রুম। ভ্যাপসা গরমের দরুণ শরীরে বাতাসের ছিটেফোটাও লাগছে না। রাবেয়াকে ফ্যানের গতি বাড়িয়ে
বাতাসের এলোমেলো ঝাপটায় ঘুমন্ত তুষারের ঝাঁকড়া চুলগুলো বিরতিহীন ভাবে উড়ছে। স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে তাকে। নবজাত শিশুর ন্যায় আদুরে ভঙ্গিতে ঠোঁট হালকা
দু’টো মাসে নিজের হিংস্রতা দিয়ে অতিষ্ঠ করে দেওয়া নিষ্ঠুর, পাষাণ গ্রীষ্ম বিদায় নিয়েছে আজ প্রায় অনেকদিন। পৃথিবীতে আষাঢ় নেমেছে। নেমেছে
থানা থেকে বের হয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটছে তারা। চারপাশের আবহাওয়া কি ভীষণ সুন্দর, শীতল, মনোমুগ্ধকর। চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা