হৈমন্তীকা [পর্ব-২৯]
সকালে উঠে তুষারকে পায় না হৈমন্তী। ঘড়িতে তখন প্রায় ন’টা বাজছে। বিছানায় জুবুথুবু হয়ে ঘুমিয়ে আছে হেমন্ত। হৈমন্তী এগিয়ে গেল […]
সকালে উঠে তুষারকে পায় না হৈমন্তী। ঘড়িতে তখন প্রায় ন’টা বাজছে। বিছানায় জুবুথুবু হয়ে ঘুমিয়ে আছে হেমন্ত। হৈমন্তী এগিয়ে গেল […]
রোদের কড়া উত্তাপে ঘেমে একাকার তুষারের শার্ট। শরীর মেজমেজ করছে। মাথায় যন্ত্রণার ক্ষীণ প্রলেপ। বাসার কলিংবেল কাজ করছে না। দু’তিনবার
বৃষ্টির তেজ বাড়ছে। ঝড়ো হাওয়ার তান্ডব চলছে চারপাশে। হৈমন্তী হাত বাড়িয়ে দিলো বৃষ্টির সম্মুখে। শীতল পানিগুলো হাতে স্পর্শ হতেই কিঞ্চিত
তুষার হাতের বাঁধন ঢিলে করছে না। আবার শক্ত করেও ধরে নি। আলতো করে, নিবিড় ভাবে ধরে রেখেছে হাতটা। শরীর ক্ষীণ
দু’হাতে মুখ ঢেকে কাঁদছে হৈমন্তী। কান্নার ক্ষীণ শব্দ কাঁপিয়ে তুলছে পুরো করিডোর। কেঁপে কেঁপে উঠছে শরীর। তুষার পাশেই নীরব হয়ে
সুদূর পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ছোট্ট আয়তাকার উঁচু জানালা গলিয়ে তেজস্বী আলো তেরছাভাবে পরছে ধুলোবালি, ময়লাযুক্ত পাকা সিমেন্টের মেঝেতে।
জড়োসড়ো হয়ে চুপচাপ বসে আছে হৈমন্তী। দৃষ্টি মেঝের দিকে সীমাবদ্ধ। বেশিক্ষণ এক জায়গায় তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ কেমন জ্বালা করছে
কড়া রোদে আশপাশ খা খা করছে। কারেন্টের তারে চুপচাপ বসে আছে কালো কুচকুচে একঝাঁক কাক। মাত্র গোসল সেরে এসেছে তারা।
ঘড়িতে দশটা বেজে এক মিনিট। রাবেয়া নয়টায় দিকে বাহিরে গিয়েছিলেন। একটু পরেই হয়তো চলে আসবেন। এদিকে তুষারের যাওয়ার নাম নেই।
পরিস্থিতি ভীষণ গুমোট। ঘনকালো পাঁপড়ির নিকষকৃষ্ণ আখিঁজোড়ায় ভয়, আতঙ্ক আর বিস্ময়ের ভীড়। নাওয়াজকে প্রচন্ড অদ্ভুদ লাগছে তার। ভীতি কাজ করছে।