হৈমন্তীকা [পর্ব-১৯]
হৈমন্তীর হাত থেকে বাজারের ব্যাগটা মাটিতে পরে গেছে। আলু, টমেটো, শসা একে একে ছড়িয়ে পরছে রাস্তায়। হৈমন্তী দ্রুত সেগুলো কুড়িয়ে […]
হৈমন্তীর হাত থেকে বাজারের ব্যাগটা মাটিতে পরে গেছে। আলু, টমেটো, শসা একে একে ছড়িয়ে পরছে রাস্তায়। হৈমন্তী দ্রুত সেগুলো কুড়িয়ে […]
সবে আটটা বেজে কুড়ি মিনিট। উবুত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে তুষার। দরজার কড়া আঘাতে ঘুমাতে বেশ অসুবিধে হচ্ছে তার। চোখমুখ
রোদের কঠিন তেজ মেঘের আড়ালে মিইয়ে যাচ্ছে। কালো মেঘগুলো জোট বেঁধে প্রখর হর্তালে নামছে। উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসছে সেগুলো।
রোদের কঠিন তেজ মেঘের আড়ালে মিইয়ে যাচ্ছে। কালো মেঘগুলো জোট বেঁধে প্রখর হর্তালে নামছে। উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসছে সেগুলো।
নাওয়াজ সুঠাম দেহের অধিকারী। খানিক সুদর্শনও বটে। শ্যামবর্ণ গায়ের রঙ। তীক্ষ্ণ চোখে সামনে তাকানোর পাশাপাশি হৈমন্তীকে বার দুয়েক আড়চোখে দেখেছে
গোধুলির আগমন ঘটছে পৃথিবীতে। পূব দিকের নীল রঙা আকাশটা কি দারুণ হলদে, কমলা হয়ে উঠেছে! মাত্র রান্নাঘর থেকে নিজের রুমে
বাবার ডাকে থমকে দাঁড়ালো হৈমন্তী। জবাব নিলো, — “জি, বাবা।” আসরাফ সাহেবের মুখ মলিন, গাম্ভীর্যপূর্ণ। হৈমন্তীর দিকে একবারও তাকাচ্ছেন না
বাইকের গতি বাড়ছে। শনশন আওয়াজে বাতাসের তীব্র ঝাপটা লাগছে কানে। ঠিক ভাবে চোখ মেলে তাকাতে পারছে না হৈমন্তী। বাইকের পেছনের
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পরছে বাহিরে। বাতাসের তীব্র তান্ডবে তীর্যকভাবে বৃষ্টির এক একেকটা ফোঁটা গায়ে লাগছে। নিস্তব্ধ, নির্জন রাস্তার মধ্যিখানে হাঁটছে তুষার।
‘দাঁড়ান, হৈমন্তীকা’ তুষারের বলা এই একটি বাক্য শুনে ভড়কে গেল হৈমন্তী। তুষার দেখে ফেলেছে তাকে। ডাক শুনেও দাঁড়ালো না সে।