হৈমন্তীকা [পর্ব-১০]
নিস্তেজ পায়ে নিজ ফ্ল্যাটে এসে হাজির হলো হৈমন্তী। তাকে ফিরে আসতে দেখে অবাক হলেন আসরাফ সাহেব। জিজ্ঞেস করলেন,— “কিরে মা, […]
নিস্তেজ পায়ে নিজ ফ্ল্যাটে এসে হাজির হলো হৈমন্তী। তাকে ফিরে আসতে দেখে অবাক হলেন আসরাফ সাহেব। জিজ্ঞেস করলেন,— “কিরে মা, […]
কোনো এক মাসের, কোনো এক শুক্রবার। নিকষকৃষ্ণ আঁধার ডিঙ্গিয়ে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে মাত্র। সুদূর পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা
কাঁধে ব্যাগ নিয়ে মাঠের একপাশে ইভানকে যেতে দেখা যাচ্ছে। কপালে, হাতে বেন্ডেজ তার। ডান চোখটাও কেমন ফুলে বড় হয়ে আছে।
বারান্দায় শনশন আওয়াজে বাতাসের আনাগোনা চলছে। কপালের চুলগুলো উড়ে এসে চোখে পরছে হৈমন্তীর। বিরক্ত করছে খুব। হৈমন্তী চোখ পিটপিট করে
দরজার একদম মধ্যিখানে বিশাল বড় নেমপ্লেটে নামের জায়গায় গুটিগুটি অক্ষরে লেখা, ‘It is forbidden to bother at special times and
রোদের কিরণ তেছরাভাবে পরছে হৈমন্তীর মুখে। জ্বলজ্বল করছে রাগান্বিত আঁখিজোড়া। কাঁপতে থাকা ওষ্ঠ নাড়িয়ে হৈমন্তী বললো, — “কোন সাহসে আপনি
টেবিলের ওপর মাথা রেখে একমনে সেন্টারফ্রুড চিবুচ্ছে তুষার। তার দৃষ্টি কোথায় যেয়ে ঠেকেছে ঠিক বুঝতে পারছে না হৈমন্তী। সর্তক চাহনিতে
তুষারের চিন্তায় ঘুম আসছে না হৈমন্তীর। ছেলেটার পাগলামি দিন দিন বাড়ছেই। এমতাবস্থায় হৈমন্তীর কি করা উচিত? চড়, থাপ্পড়, অপমান, কিছুই
দুপুর বেলা। ছাদে টানানো রশি থেকে কাপড় নিচ্ছে হৈমন্তী। রোদের তেজি আলো সরাসরি চোখে, মুখে পরছে তার। বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে
“আমার বয়স কত জানেন? ২৩! আপনার চেয়ে ৩বছরের বড় আমি। লজ্জা করলো না নিজের আপুর বয়সী একটা মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব